অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিলেন। এর পরপরই টুইটারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করেছেন তিনি।
প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির জন্য ভবিষ্যৎ রূপরেখা দেয়ার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে অর্জন করা হবে, সে সম্পর্কেও কিছুটা আঁচ দিয়েছেন ইলন। তিনি টুইট করেছেন, ‘পাখিটি মুক্ত করা হয়েছে’।
মাস্কের প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হলো, টুইটারের নেতৃত্ব পরিবর্তন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগাল ও আইনি বিষয় ও নীতির প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইলন মাস্ক টুইট বার্তায় জানান, অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি টুইটার কিনতে আগ্রহী নন। মানবতাকে সাহায্য করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি কিনেছেন। তিনি সভ্যতার একটি সাধারণ ‘ডিজিটাল টাউন স্কয়ার’ তৈরি করতে চান।
মাস্ক লিখেছেন, মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত, যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে, সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে। বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কট্টর দক্ষিণপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। এ বিষয়গুলো সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটার কেনার চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ইলন মাস্ক। এরপর ক্রয় প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাধ্য করার জন্য ডেলাওয়্যার চ্যান্সারি আদালতে তার নামে মামলা করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। পরে আদালত ইলন মাস্ককে চুক্তি করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। আদালতের রায় অনুযায়ী শুক্রবারের (২৮ অক্টোবর) মধ্যে টুইটার কেনার চুক্তি করতে হবে বলে ইলনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মাস্ক তার টুইটার প্রোফাইলের বায়ো পরিবর্তন করে ‘টুইট চিফ’ লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি তার প্রোফাইলে লোকেশন পরিবর্তন করে টুইটার সদর দফতর করে দিয়েছেন।
Leave a Reply